পর্তুগালের ক্ষমতাসীন বামপন্থি সোশ্যালিস্ট পার্টি (পিএস) আবারো সরকার গঠন করছে। ৩০ জানুয়ারি (রোববার) অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দলটি ১১৭টি আসন লাভ করে (প্রয়োজন ১১৬টি আসন)।নির্বাচনে দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট পার্টি (পিএসডি) ৭১ আসন লাভ করে সংসদেবিরোধী দলের অবস্থান চূড়ান্ত করেছে। এদিকে নির্বাচনে হেরেও পিএসডির প্রেসিডেন্ট রুই রিও বিজয়ী সোশ্যালিস্টপার্টির প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অ্যান্তোনি কস্তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী কস্তাসোশ্যালিস্ট পার্টিকে এই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেবলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও আমরা সবাইকে নিয়ে সরকার গঠন করব এবং জনগণ আমাদের উপর আরো বেশি দায়িত্বতুলে দিয়েছে। এর আগে ২০১৫ এবং ২০১৯ সালে দুই মেয়াদে নির্বাচনে তাদেরকে শরিক দল নিয়ে সরকার গঠনকরতে হয়েছিল। তবে এবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। যদিও ২০০৫ সালের পরবিগত চারটি সরকার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে সক্ষম হয়নি। সোশ্যালিস্ট পার্টির বিজয়ে সন্তোষ প্রকাশকরেছেন এখানে বসবাসকারী বাংলাদেশি প্রবাসীরা। কারণ তারা মনে করেন সোশ্যালিস্ট পর্টি প্রবাসীবান্ধব এবংজনগণের সরকার। প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে আলাপকালে দেখা যায় ৯৯ শতাংশই ক্ষমতাশীল সোশ্যালিস্টপার্টিকে ভোট দিয়েছেন এবং দলটির বিভিন্ন গণসংযোগে তারা ব্যাপক সমর্থন যুগিয়েছেন।অপরদিকে নবাগতপ্রবাসী বাংলাদেশি অভিবাসন প্রত্যাশীরাও এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চরম আশঙ্কায় দিন পার করেছেন। কারণঅপর দলগুলোর অভিবাসীদের প্রতি কঠোর মনোভাব তাদেরকে আশঙ্কার মধ্যে ফেলে দিয়েছিল। তাইঅংশগ্রহণের সুযোগ না থাকলেও বর্তমান ক্ষমতাসীন সোশ্যালিস্টের বিজয়ে তাদের মুখে আবারো হাসি ফিরেএসেছে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে পর্তুগিজ জাতীয় সংসদে ২০২২ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করাহলে বিগত সংসদের কোয়ালিশন সরকার তাদের শরিক দল এবং বিরোধীদলের বিরোধিতার কারণে বাজেটঅনুমোদনে ব্যর্থ হয়। এমন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক সংকট দেখা দিলে, সরকারের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার ২ বছরআগেই রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দিয়ে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি আগাম নির্বাচন ঘোষণা করেন।
Developed By Radwan Web Service