কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চলতি মৌসুমে ৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১২০০ হেক্টর বোরো ধানের জমির তলা ফেটে রোপণকৃত চারা নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখে পড়েছেন চাষিরা। এসব কৃষকেরা নিদির্ষ্ট চুক্তিতে জমিতে বোরোধান চাষ করেছিলেন। পানির সংকটের ফলে আদমপুর ও ইসলামপুর ইউনিয়নের একাংশের জমিতে বোরো আবাদ অনিশ্চিত হওয়ায় দুঃশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। বোরো চাষে পানি ও সেচ সংকটের বিষয়টি জেনে শনিবার বিকেলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জনি খান সরজমিন আদমপুর এলাকায় বোরো চাষ পরিদর্শন করে কৃষকদের সাথে কথা বলেন। আদমপুর ইউনিয়নের শতাধিক কৃষকের প্রায় ৩০০ একর বোরো ধানের জমির তলা ফেটে রোপণকৃত চারা নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখে পড়েছেন চাষিরা। এসব কৃষকেরা নিদির্ষ্ট চুক্তিতে জমিতে বোরোধান চাষ করেছিলেন। পানির সংকটের ফলে আদমপুর ও ইসলামপুর ইউনিয়নের একাংশের জমিতে বোরো আবাদ অনিশ্চিত হওয়ায় দুঃশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তারা জানান, একর প্রতি ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা লাভের আশায় নির্দিষ্ট চুক্তিতে জমি নিয়ে চাষাবাদ করছেন তারা। জমি ও বীজতলা তৈরি, বীজ কেনা, চারা রোপণ, সার কীটনাশক ইত্যাদি বাবদ এ পর্যন্ত হাজার হাজার টাকা খরচ করে এখন পানির অভাবে চারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জমি ফেটে চৌচির। আলাপকালে আদমপুর ইউনিয়নের কৃষক ওয়াসিম মিয়া, আবিদ বক্ত, গিয়াস মিয়া বলেন, অনেক আশা করে ক্ষেত করছিলাম, অখন পানির অভাবে সব নষ্ট। ধার কর্জা করিয়া বউত টেকা খরচ করছি। খালি ২টা ডিপ টিউবওয়েল অইলে এ সমস্যা থাকতো না।” পানির পর্যাপ্ততা থাকলে সারা বছর জুড়ে উত্তরভাগ, নোয়াগাঁও গ্রামের কয়েকশো একর জমিতে আউশ, আমন ও বোরো চাষ করা যায়। সেচ সংকটে ভরা মৌসুমেও চাষাবাদ করতে না পারায় হতাশা প্রকাশ করেছেন এসব এলাকার কৃষকেরা। দ্রুত সংকট সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা। আদমপুরে বোরো চাষে পানি ও সেচ সংকটের বিষয় জেনে শনিবার বিকাল ৪টায় কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জনি খান সরেজমিন আদমপুর এলাকায় বোরো চাষ পরিদর্শন করে কৃষকদের সাথে কথা বলেন।এ বিষয়ে তিনি জানান, মৌসুমের শুরুতে উপজেলার কয়েকটি এলাকায় পানির সংকট সমাধান করেছি আমরা। সেচ ও পানির সমস্যাটা কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড তদারকি করেন। আমাদের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব আমরা সহযোগিতা করবো।
Developed By Radwan Web Service