গতকাল সোমবার সেলিমকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। এর আগে ওই দিনই সিআইডি বাদী হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে নগরের পাঁচলাইশ থানায় মামলা করে। মামলার এজাহারে বলা হয়, ৩২ বছর বয়সী নারীর লাশ ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এবং ১২ বছর বয়সী কন্যাশিশুর লাশ একই বছরের এপ্রিলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লাশকাটা ঘরে আনা হয়েছিল। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক মরদেহের ‘হাই ভেজাইনাল সোয়াব (এইচভিএস)’ সিআইডির ঢাকা ল্যাবরেটরিতে পাঠিয়েছিলেন। পরীক্ষায় এতে একই পুরুষের শুক্রাণুর উপস্থিতি পাওয়া যায়। শুক্রাণুর ডিএনএ প্রোফাইল ম্যাচিং করে সেটি একই ব্যক্তির বলে নিশ্চিত হন পরীক্ষকেরা। বিষয়টি চট্টগ্রাম সিআইডিকে জানানোর পর অনুসন্ধান করে নিশ্চিত হওয়া গেছে, লাশকাটা ঘরের সেলিমই জড়িত । অথচ লাশ দুটির সুরতহালে কোনো আঘাত বা ধর্ষণের চিহ্নের কথা উল্লেখ ছিল না। হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্র জানায়, সেলিম মূলত লাশকাটা ঘর পাহারা দিতেন। তিনি গাড়ি থেকে লাশ ওঠানো-নামানোর কাজ করতেন। হাসপাতাল থেকে কোনো বেতন না পেলেও, মৃত ব্যক্তিদের স্বজনের কাছ থেকে টাকা নিতেন।