কমলগঞ্জে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে ধলাই নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৫৭ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রতিরক্ষা বাঁধ এখন নড়বড়ে অবস্থা। বর্ষা আসতে না আসতেই শুরু হয়েছে প্রতিরক্ষা বাঁধে ধস। ধলাই নদীর ঝুঁকিপূর্ণ কয়েকটি স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ড মেরামত করলেও নতুন করে কয়েকটি স্থানে ঝুকিঁপূর্ণ হয়ে উঠেছে। গত শুক্রবার বিকালে পানি বাড়ায় কমলগঞ্জ পৌর এলাকার করিমপুরসহ আরো ৫টি স্থানে নতুন করে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে হুমকির মুখে রয়েছে আরো ১০টি স্থান। খবর পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় পানি উন্নয়ন বোর্ড, মৌলভীবাজার এর নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তারুজ্জামান কমলগঞ্জের রুহমপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর এলাকায় ঝুকিঁপূর্ণ বাঁধ পরির্দশন করেন। কমলগঞ্জে ফাটল অংশ পরিদর্শন করে দ্রুত মেরামতের আশ্বাস দিয়েছেন। ২১ মে শনিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের বিভিন্ন ভাঙন ধরা স্থান পানি উন্নয়ন বোর্ড মেরামত করলেও বর্তমানে কয়েকটি স্থান অত্যন্ত ঝুঁকির মুখে রয়েছে। গত এক সপ্তাহের ভারী বর্ষণে ও পাহাড়ি ঢলে ধলাই নদীর বিভিন্ন এলাকায় বাঁধ হওয়ায় পানি বৃদ্ধিতে বাঁধে ফাটল বা ধস দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে উপজেলার ইসলামপুর ইউপির মোকাবিল, কালারায়বিল, হোমেরজান, ভান্ডারীগাঁও, আদমপুর ইউনিয়নের দক্ষিন তিলকপুর, উত্তর ঘোড়ামারা, রানীরবাজার, মাধবপুর ইউনিয়নের কাটাবিল, শুকুর উল্যাহ গাঁও, ধলাইরপার, কমলগঞ্জ পৌর এলাকার আলেপুর,করিমপুর, বড়গাছ ও উজিরপুর, মুন্সীবাজার ইউনিয়নের খুশালপুর, রহিমপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুরসহ প্রায় ১০টি স্থানে বাঁধ ঝুকিঁপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ ছাড়াও টানা বর্ষনে পাহাড়ি ঢলে ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধিতে নতুন করে প্রতিরক্ষা বাঁধে ধস শুরু হয়েছে। নতুন করে ধসে পড়ছে বাঁধের মাটি। গত শুক্রবার দুপুর ২টায় কমলগঞ্জ পৌরসভার করিমপুর এলাকায় ধলাই নদীর বাঁধে নতুন করে ৭/১০ ফুট ফাটল দেখা দিয়েছে। নদীতে মাটি ধসে পড়া শুরু হয়েছে। মাত্র ১ ফুট বাঁধ রয়েছে। এতে এখন আতঙ্কগ্রস্ত পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডবাসী। এছাড়াও রহিমপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর নামক স্থানে অত্যন্ত ঝুকিঁপূর্ণ অবস্থায় প্রতিরক্ষা বাঁধ রয়েছে। পানি বৃদ্ধিতে ধস বেড়েছে। খবর পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় রহিমপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ড, মৌলভীবাজার এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান সরেজমিনে এলাকাটি পরির্দশন করেছেন।
কমলগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর দেওয়ান আব্দুর রহিম মুহিন জানান, করিমপুর এলাকায় শুক্রবার বিকালে প্রতিরক্ষা বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। প্রায় ৮/১০ ফুট বাঁধের মাটি পানিতে চলে গেছে। যে কোন মুর্হুতে বাঁধটি ভেঙ্গে যাওয়ার আতংকে ওয়ার্ডবাসী রয়েছে। কর্তৃপক্ষকে জানালে বিকাল ৫টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের একজন উপ সহকারী প্রকৌশলী ফাটলকৃত বাঁধ দেখে গেছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড, মৌলভীবাজার এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান বলেন, উপজেলার লক্ষীপুরে ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। বাঁধটি মেরামতের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া আংশিক ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধগুলোর মেরামত করা হবে।
Developed By Radwan Web Service