কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নে গত শনিবার দুপুরে ছতিয়া গ্রামের নওশাদ মিয়ার কোরবানির গরু প্রতিবেশী সিরাজ মিয়ার ধান খায়। গরুর ধান খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নওশাদ মিয়ার পরিবারের ওপর হামলা করা হয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নওশাদ মিয়ার পরিবারের ৫ নারী সহ উভয় পক্ষের ৮ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে আয়শা আক্তার সহ ৪ নারীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে আহত আয়শার অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। আহত নওশাদ মিয়া জানান আমার ভাই মৃতঃ আজাদ মিয়ার মেয়ে আয়শা আক্তারকে আমার ভাগিনা একই গ্রামের মৃতঃ জহুর আলীর ছেলে রিয়াজ মিয়া একাধিকবার বিয়ের প্রস্তাব দিলেও রাজি হয়নি তার পরিবার এবং একই গ্রামের মৃত কুদ্দুস মিয়ার ছেলে মোঃ সুমন মিয়া সাথে আগামী কাল ১৩ জুলাই বুধবার বিয়ের দিন ধার্য করা হয়েছে শুনে গরুর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে হামলা করা হয়। হামলার ঘটনায় আহত আয়শা আক্তার (১৮) মারা যান। মঙ্গলবার ভোরে ৩টায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কমলগঞ্জ থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান। হামলার ঘটনায় রোববার দুপুরে নওশাদ মিয়া বাদী হয়ে কমলগঞ্জ থানায় ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ সামাদ মিয়া ও সিরাজ মিয়া নামে দুই আসামিকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
Developed By Radwan Web Service