কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের ভাসানিগাঁও গ্রামে মালিকানা দাবী করে ৫০ বছরের ব্যবহারকৃত চলাচলের রাস্তার মধ্যে খানে পাকা খুঁটি স্থাপন করে রাখছেন এক ব্যক্তি। রাস্তার মধ্যখানে খুঁটি স্থাপনের কারনে ২৫টি পরিবার কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। জানা যায়, উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের ভাসানিগাঁও গ্রামের প্রায় ২৫টি পরিবার ৫০ বছর ধরে চলাচলের রাস্তা হিসাবে ব্যবহার করে আসছেন। ভুক্তভোগি আলমাছ মিয়া, তাহির মিয়া ও ইউসুফ মিয়া জানান, ৫০ বছরের অধিক সময় যাবৎ আমরা এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে আসছি। হঠাৎ গত চার দিন আগে আমাদের প্রতিবেশী মো. সিরাজ উদ্দিন রাস্তার বর্তমান রেকর্ডীয় মালিক দাবী করে রাস্তার মাঝামাঝি জায়গায় বাঁশের খুঁটি স্থাপন করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড সদস্যকে জানালে চেয়ারম্যান মেম্বারের কথা না শুনে সিরাজ উদ্দিন ওই রাস্তায় দু’দিন আগে পাঁকার খুঁটি স্থাপন করে আমাদেরকে রাস্তায় যাতায়াতে নিষেধ করে। তারা আরও বলেন, উনার বাবা ও দাদা থাকাকালীন এই রাস্তা দিয়ে আমরা যাতায়াত করে আসছি, কিন্তু কোন দিন কেউ বাঁধা প্রদান করেননি।এদিকে আমন ধান কেঁটে বাড়িতে নিয়ে এসে রাস্তায় খুঁটির কারনে মাড়াই মেশিন বাড়িতে নিতে না পারায় নষ্ট হচ্ছে কাঁটা ধান। বিষটির সুরাহার জন্য কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: মোতাহের আলী বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ দেখে আসছি এ রাস্তা দিয়ে ২০/২৫ পরিবার চলাচল করে করছে। হঠাৎ রাস্তাটি বন্ধ করায় পরিবারগুলো ভোগান্তিতে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে আমাদের চেয়ারম্যান সাহেবসহ বসে সমাধানের চেষ্টা করলে সিরাজ মিয়া বসতে রাজি হননি এবং রাস্তায় পোঁতে রাখা খুঁটি অপসারন করবেননা বলে জানান। এ ঘটনায় এলাকাবাসী আলমাছ মিয়া বাদী হয়ে রাস্তার মধ্যখানে খুঁটি স্থাপন ও দাঙ্গা হামলার আশংকায় বুধবার কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবরে লিখিত লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।মাধবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আসিদ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে জানতে মো. সিরাজ উদ্দিনকে পাওয়া না গেলেও তার মেয়ে জেনি আক্তার জানান, আমার বাবা বাড়িতে নেই হাসপাতালে অসুস্থ্য, তিনি আসলে বিস্তারিত জানাবেন।কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সঞ্জয় চত্রুবর্তী থানায় অভিযোগ দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সরেজমিন তদন্তক্রমে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন জানান, রাস্তাটি যেহেতু ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায়। আমি স্থানীয় চেয়ারম্যান সাহেবকে বলেছি আমরা উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Developed By Radwan Web Service