• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :

স্মৃতির দর্পনে এক মানবিক ব্যক্তিত্বঃ এডভোকেট ইজ্জাদুর রহমান চৌধুরী-কমলগঞ্জ বার্তা

সৈয়দ উবায়দুর রহমান শরিফ। / ১০০ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : রবিবার, ২ জুন, ২০২৪

কমলগঞ্জ উপজেলার পতন উষার গ্রামে চৌধুরী পরিবারের মুখ উজ্বল করে ১৯৪৬ সালের কোন এক মাহেন্দ্রক্ষণে জন্মগ্রহণ করেন মানবতার এই সেবক ইজ্জাদুর রহমান চৌধুরী । পিতার নাম আব্দুন নুর চৌধুরী (মাস্টার) আর মায়ের নাম আশরাফুন নেছা খাতুন (গৃহিনী)। পারিবারিক ভাবে জানাযায়, তিনি পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবি ছিলেন। কুলাউড়া উপজেলার কানিহাটি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে এস.এস.সি পাস করেন তিনি । এর পর এইচ.এস.সিতে জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মৌলভীবাজার সরকারী কলেজে ভর্তি হন এবং এখানথেকেও কৃতিত্বের সাথে এইচ,এস,সি পাস করেন। অত:পর উচ্চশিক্ষা অর্জনের লক্ষে তিনি রাজধানী ঢাকায় চলেযান এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে ভর্তি হন। এই প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স পাস করেন তিনি। পরে ঢাকা সিটি ‘ল’ কলেজ থেকে এল.এল.বি পাস করেন। এডভোকেট ইজ্জাদুর রহমান চৌধুরী ১৯৭৭ সালে প্রথম ঢাকা জজ কোর্টে আইন পেশায় যোগদান করেন এবং ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত এখানে দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালতে একজন স্বনামধন্য বিজ্ঞ এডভোকেট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৮৩ সালের শেষ দিকে এরশাদ সরকারের প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের ফলে উপজেলা আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে প্রিয় স্বজনদের টানে চলে আসেন কমলগঞ্জ নিজ উপজেলায়। কমলগঞ্জ উপজেলা আদালতে আইন পেশায় নিয়োজিত থাকাকালীন সময়ে তিনি আমৃত্যু তাঁর মক্কেলগণের অর্পিত যাবতীয় দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার কার্যক্রম তিনি অত্যন্ত স্বচ্ছতা ও দক্ষতার সাথে সম্পাদন করেযান । ১৯৯১সালের এই জুনেই আকষ্মিকভাবে জটিল রোগাক্রান্ত হয়ে এই মহীরোহের জীবনের ছন্দপতন ঘটে এবং শমসের নগরস্থ বাসভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন। পরে শিংরাউলি কবরস্তানে তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়। মৃত্যুপূর্ববর্তী সময় পর্যন্ত কমলগঞ্জ উপজেলা দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতের একজন স্বনামধন্য আইনজীবি হিসেবে মানুষের সাথে ছিলো তাঁর অত্যন্ত অমায়িক ব্যবহার। তিনি ছিলেন অনেক অসহায়ের সহায়। গরীব অসহায় নি:স্ব মানুষেরা মিথ্যা মামলা মোকদ্দমায় জড়িত হয়ে তাঁর কাছে ভিড়লে সাধামনের এই মানুষটির মনে দয়ামায়ার উদ্রেগ ঘটত, যার ফলে এ ধরণের মানুষের উপকারার্থে তিনি সাধ্যমত বিনে পয়সায় অনেক মামলা মোকদ্দমা চালিয়ে গেছেন যা বর্তমান সমাজের জন্য বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন তিনি। প্রচার বিমুখ এমন মহত্‍ মানুষকে নিয়ে আজকাল কোন সামাজিক প্রচার মিডিয়া, সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক অথবা সুধীমহলের কেউই ভাবতে দেখাযায়না। সাদাসিধে চলনে বলনে সদা অভ্যস্ত, পরোপকারী আর নিরহংকারী এই ব্যক্তিত্ব ছিলেন সমগ্র পতন উষার তথা কমলগঞ্জবাসীর গর্ব। তারঁ এই প্রয়ান দিনে পরম করুণাময় খোদাতায়ালার দরবারে আমি তাঁর আত্মার চির শান্তি ও বেহেস্ত কামনা করি ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন...
Developed By Radwan Web Service