কমলগঞ্জের শত বছরের পুরনো শমসেরনগর রেলস্টেশনে স্বাধীনতার এতো বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। স্টেশন ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। যাত্রীরা স্টেশনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আর নজরদারির অভাবে স্টেশনের জায়গা দখল হয়ে যাচ্ছে। তবে স্টেশনের উন্নয়নে একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানান স্টেশন মাস্টার মো. জামাল হোসেন। জরাজীর্ণ শত বছরের পুরনো শমসেরনগর রেলস্টেশন। জানা যায়, জেলার গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে স্টেশন শসসেরনগর। এ স্টেশনের মাধ্যমে জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর ও কুলাউড়া উপজেলার অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ ঢাকা-চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন। এছাড়া দেশের অন্যতম প্রশিক্ষণ বিমানঘাঁটি শসমসেরনগরে রয়েছে। পাশাপাশি দেশি-বিদেশি চা-বাগান ছাড়াও পর্যটন এলাকা হিসাবে কমলগঞ্জের এ অঞ্চলটির সুনাম আছে। ১৮৯৬ সালে কুমিল্লা-আখাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ স্থাপন করা হয়। এ অঞ্চলের গুরুত্ব বিবেচনা করে সে সময় শমসেরনগর রেলওয়ে স্টেশন প্রতিষ্ঠা হয়। তবে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এ স্টেশনে আজও কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।
রেলস্টেশন ঘুরে দেখা যায়, ভবনের দেয়ালের বিভিন্ন অংশ ফেটে গেছে। সংস্কারের অভাবে দেয়ালজুড়ে শেওলা জমে আছে। যাত্রীদের বসার জন্য কোনো স্থান নেই। বৃষ্টি হলে প্ল্যাটফর্মের ছাদ থেকেও পানি পড়ে। এছাড়া মাত্র একটি শৌচাগার রয়েছে, যা ব্যবহারের অনুপযোগী। আর জায়গা স্বল্পতায় স্টেশন মাস্টারের কার্যালয়ে বসে কাজ করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিটের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও মাত্র ৯টি বরাদ্দ রয়েছে। এছাড়া স্টেশনের যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়। পাশাপাশি রেলের জমি দখল করা হচ্ছে। স্থানীয় সংবাদকর্মী প্রণীত রঞ্জন দেবনাথ নানান অনিয়মের কথা তুলে ধরে স্টেশনের উন্নয়নের দাবি জানান। আর যাত্রীরা বলেন, দ্রুত এই স্টেশনের আধুনিকায়ন প্রয়োজন। শসসেরনগর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. জামাল হোসেন বলেন, ‘স্টেশনটির উন্নয়নে একটি প্রস্তাব জমা দেয়া হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে কোনো সমস্যা থাকবে না।
Developed By Radwan Web Service