• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :

২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবি না মানলে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা

কমলগঞ্জ বার্তা ডেস্ক, রিপোর্ট ॥ / ৭৭ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

গ্রেপ্তার ও গুম হওয়া ব্যক্তিদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি দিতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নিতে হবে। পাশাপাশি মন্ত্রী থেকে শুরু করে কনস্টেবল পর্যন্ত যারা সহিংসতার জন্য দায়ী তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই দাবি মানা না হলে কর্মসূচি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। শনিবার (২৭ জুলাই) রাতে অনলাইনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে নেতারা এই ঘোষণা দেন। সম্মেলনে আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, রোববার (২৮ জুলাই) জেলা, উপজেলাসহ সব পর্যায়ে হেলথ ফোর্স এবং লিগ্যাল ফোর্স গঠন করা হবে। তারা সারাদেশে আহত ও নিহতদের তথ্য সংগ্রহ করবেন। এ ছাড়া সারাদেশে গ্রাফিতি ও দেয়াল লিখনেরও ঘোষণা দেন তারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেন, ‘গ্রেপ্তার ও গুম হওয়া ব্যক্তিদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি দিতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নিতে হবে। পাশাপাশি মন্ত্রী থেকে শুরু করে কনস্টেবল পর্যন্ত যারা সহিংসতার জন্য দায়ী তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। যদি এই দাবি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে না মানা হয় তাহলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।’ এ সময় পরিপত্র পরিপত্র লেখা হচ্ছে দাবি করে তা বন্ধ করে স্টোক হোল্ডারদের নিয়ে একটি কমিশন করে আইন প্রণয়নের দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নেতারা দাবি করেন, ‘সহিংসতায় অন্তত ২৬৬ জন নিহত হয়েছেন।’ এ সময় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা ভালো নেই দাবি করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা এবং প্রভাবশালী রাষ্ট্রের প্রতি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালতে এই গণহত্যার বিরুদ্ধে মামলা করার কথাও বলেন তারা। এ ছাড়া প্রবাসীদের শিক্ষার্থীদের প্রতি আওয়াজ তোলার আহ্বানও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, ঢাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনকে আজ পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেয়া হয়নি। এ ছাড়া নাহিদ ইসলামসহ সমন্বয়কদের সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করতে গেলেও পাঁচ মিনিটের বেশি সময় দেয়া হয়নি বলেও তারা অভিযোগ করেন।
নেতারা বলেন, দাবি না মানলে আরও কঠিন কর্মসূচি দেয় হবে। আমরা আর ঘরে বসে থাকবো না। রাস্তায় নেমে আসবো।আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক রিফাত রশিদের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ, মাহিন সরকার উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনের প্রথমে নেতা বলেন, এক বাজে অবস্থায় আমরা আপনাদের সামনে এসেছি। এ সময় বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদ তুলে ধরে নিহত ও আহতদের বর্ণনা দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর ‘র‍্যাব হেলিকাপ্টার দিয়ে পানি দিয়ে আগুন নিভিয়েছে’ বক্তব্যও প্রত্যাখ্যান করেন নেতারা। তারা প্রশ্ন রেখে বলেন, রাজপথে ছাত্রলীগের যেসব নেতাকর্মী শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ করেছে তাদের কি গ্রেপ্তার করা হয়েছে ?
কোটা সংস্কার আন্দোলনের এক দফা বাস্তবায়ন হয়নি দাবি করে বিশ্ববাসীর কাছে ‘গণহত্যার’ বিচার দাবি করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ সময় আন্দোলনের পেক্ষাপট তুলে ধরেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার। তিনি বলেন, ১১-১২ দিন আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছি। কিন্তু চীন সফর থেকে এসে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা প্রতিক্রিয়া জানান। এখন সরকারের পক্ষ থেকে ছাত্রদের দাবি মেনে নেয়া হয়েছে বলা হলেও তা সত্য না। আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাই না। আমাদের প্রতিরোধ জারি থাকবে। আমাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষও যোগ দিয়েছেন। তারা বলেন, সহিংসতা ও মৃত্যুর ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে দুঃখপ্রকাশও করা হয়নি বরং শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে অপরাজনীতি করা হচ্ছে। এ দায় সরকারেরই নিতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন...
Developed By Radwan Web Service