কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের হোমেরজান গ্রামের সিতারা বেগম (৫০) দেবর শওকত আলি (৪৮) এর বিরুদ্ধে গত মাসের ২৭ তারিখ কমলগঞ্জ থানায় লিখিত এ অভিযোগ দায়ের করেন। থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবরে লিখিত এ অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন। বিবাদীঃ শওকত আলী (৪৮), পিতা- মৃত জমির উদ্দিন, সাং- হোমেরজান, ৭নং আদমপুর ইউ/পি, থানা- কমলগঞ্জ, জেলা- মৌলভীবাজার। সাক্ষীঃ ০১ নাজমিন বেগম (৩০), স্বামী- আলী হাসান, ০২। জোছনা বেগম (৩৫), স্বামী- রফিক আলী, ০৩। জুনাব আলী (৫৫), পিতা- মৃত ইয়ুব আলী, সর্ব সাং- হোমে রজান, ৭নং আদমপুর ইউ/পি, থানা- কমলগঞ্জ, বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী থানায় হাজির হইয়া এই মর্মে বিবাদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, উল্লেখিত বিবাদী একজন পরধনলোভী, আত্মসাৎকারী প্রকৃতির হয়। সে সবসময় গায়ের জোরে চলাফেরা করে, আইন কানুনের ধার ধারে না। আমার স্বামী মৃত বদরুজ্জামান ৩১/০১/২০২৩ইং তারিখ সৌদি আরব মৃত্যুবরণ করেন। আমার স্বামী মৃত্যুর আগে উল্লেখিত বিবাদী ও আমি যৌথ পরিবারের বসবাস করিতাম। আমার স্বামী সৌদি আরব থাকাকালীন আমার স্বামীর রোজগারের টাকা দিয়া বিবাদীর সাথে যৌথভাবে পাকা দালান নির্মাণ করি। আমাদের সহায় সম্পদ এখনও যৌথ অবস্থায় রয়েছে। আমার স্বামী মৃত্যুবরণ করার পর উল্লেখিত বিবাদী আমার স্বামীর টাকায় নির্মিত পাকা ঘর হইতে গত ১৮/০৮/২০২৪ইং
জোরপূর্বক বাহির করিয়া দেয়। উক্ত বিষয় নিয়া সমাধানের নিমিত্তে একাধিকবার বিচার বৈঠক হইলেও বিবাদী তাহা অমান্য করে। উল্লেখিত বিবাদী আমার অংশের জায়গা জোর পূর্বক ভোগ ব্যবহার করিয়া আসিতেছে। আমার চার মেয়ের মধ্যে ৩ মেয়েকে বিবাহ দেই। বর্তমানে আমার ছোট মেয়েকে নিয়ে আমি আমার স্বামীর পুরাতন দালান ঘরের পাশে একচালা টিনসেড ঘরে মানবেতন দিনযাপন করিতেছি। বিবাদী আমাকে বাড়ি ছাড়া করিয়া আমার অংশের জায়গা আত্মসাৎ করার পায়তারায় লিপ্ত রহিয়াছে। ঘটনার তারিখ ও সময়ে আমার একচালা টিনসেডের ঘরে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করার কারণে ঘর মেরামত করতে চাহিলে উল্লেখিত বিবাদি বাধা প্রদান করিয়া আমাকে অশ্লিল ভাষায় গালি-গালাজ করিতে থাকে। আমি গালি-গালাজের প্রতিবাদ করিলে উল্লেখিত বিবাদী আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকী প্রদর্শন করে। আমি বিষয়টি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবগত করিয়া বিবাদীর বিরুদ্ধে অত্র অভিযোগ দায়ের করিতে কিছুটা বিলা হইল। তিনি তার অভিযোগে তিনি আরো বলেন, আদালতে মৌরসী জায়গার রেকর্ড সংশোধনী একটি মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। অভিযোগের সূত্র ধরে (৩ সেপ্টেম্বর) সোমবার দুপুরে সরজমিনে গেলে দেখা যায় শওকত আলীর বসবাসের পাকা ঘরের পাশে একচালা একটি টিনসেডের ঘরে মানবেতন দিনযাপন করছেন সিতারা বেগম ও তার মেয়েরা। এ বিষয়ে অভিযোগ তদন্তকারি কর্মকর্তা এ এস আই মো. রেজাউল করিম এর কাছে
মোবাইলে আলাপে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্তধীন রয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য হেলাল মিয়া বলেন, সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে তাদের জায়গা জমি সবাইকে ভাগবাটোয়ারা করে দেওয়া হয় তবে এ নিয়ে আদালতে একটি মামলা থাকায় সম্পূর্ণ বিষয়টি নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়নি বলে জানান তিনি। শওকত আলী জানান, তাদের জায়গা তাদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে তারপরেও বার বার মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে
Developed By Radwan Web Service