হওয়ায় ছিনতাইকৃত টাকা ও মোবাইল ফোন উদ্ধারের ‘ক্লু’ পেয়েছে পুলিশ। রুজি বেগম উপজেলার কাঠালতলী মাধবগুল (মধ্য) গ্রামের কুয়েত প্রবাসী সাইফুদ্দিনের স্ত্রী। সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে সঙ্গবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্র গলায় ধারালো অস্ত্র ধরে মা ও মেয়ের টাকা, চেকবই এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছে। সোমবার দুপুরে ভোক্তভোগী রুজি বেগমের বাড়িতে গেলে তিনি ঘটনার বর্ণনা দেন। তিনি জানান, স্বামীর পাঠানো টাকা ইসলামী ব্যাংক বড়লেখা শাখা থেকে উত্তোলন করে কিছু কেনাকাটা শেষে বাড়ি ফেরার জন্য ব্যাংকের সামনের সড়কের পার্শে দাঁড়ান। এসময় একজন সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক দেড়শ’ টাকায় বাড়ি পৌঁছে দিতে রাজি হওয়ায় মেয়েকে নিয়ে তিনি গাড়িতে ওঠেন। কিন্তু জানতেন না সে সঙ্গবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। গাড়িতে বসিয়েই সিএনজি চালক একটু দূরে গিয়ে কোথায় যেন ফোন করে। পরক্ষণে একটি ছেলে এসে তার পাশের সিটে বসতেই সিএনজি ছেড়ে দেয়। চলন্ত অবস্থায় আরো কয়েকবার ফোন করে। সে ছিনতাইকারী চক্রের অপর সদস্যদের যে তাকে ফলো করতে বলেছে, তা ঘটনার পর পরিস্কার হয়ে ওঠেছে। বাড়ির কাছাকাছি একটু নির্জন স্থানে সিএনজি খুব ধীরগতিতে চালাতে থাকে। ঠিক তখনই একটি মোটরসাইকেল অভারটেক করে সামনে যেতেই সে সিএনজি থামিয়ে দেয়। মোটরসাইকেল আরোহী তিন যুবক আমি ও আমার মেয়ের গলায় ধারারো অস্ত্র ঠেকিয়ে টাকার ব্যাগ, ব্যাগে থাকা চেকবই, মেয়ের হাতের পার্স ও টাস মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তখন সিএনজি চালক ও তার সাথে থাকা ছেলেটি ছিল দর্শকের ভুমিকায়। ব্যাগের ভেতর ৬০ হাজার টাকা ছিল। সিএনজি ঘুরিয়ে চলে যেতে চাইলে আমি ও আমার মেয়ে তাদের ঝাপটে ধরে চিৎকার দেই। তখন লোকজন এসে অটোরিকশাসহ তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।গৃহবধু রুজি বেগম জানান, সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশ থানায় ডেকে নিয়ে লিখিত অভিযোগ নিয়েছে। থানার ওসি বলেছেন টাকা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করে দিবেন। কিন্তু এখনও টাকা কিংবা মোবাইল ফোন ফেরত পাইনি।
Developed By Radwan Web Service